8 June 2024 , 3:23:05 প্রিন্ট সংস্করণ
টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং এই পরিস্থিতিতে অনেকেই পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে বিজয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
রুশ সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়লে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।শুক্রবার (৭ জুন) সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে মডারেটর সের্গেই কারাগানভ নামের একজন প্রভাবশালী রাশিয়ান বিশ্লেষকের পামাণবিক অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে বিজয় নিশ্চিত করতে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার জানিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক এই সংঘাত যে পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত হবে না, সে বিষয়ে এটিই এখন পর্যন্ত ক্রেমলিনের সবচেয়ে জোরালো ইঙ্গিত।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের পরিস্থিতি এখনো দেখেন না।পুতিন বলেন, ‘পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কেবল ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই সম্ভব – দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকির ক্ষেত্রে। আমি মনে করি না, এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি এখনও হয়েছে। এমন অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। এছাড়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে মস্কো।রাশিয়া এখন ক্রিমিয়ার পাশাপাশি এবং এই চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলকে এখন তার নিজস্ব ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করে।
আর পশ্চিমা অস্ত্রে সজ্জিত ইউক্রেন যদি এসব ভূখণ্ড পুনরায় দখলে নিতে চায় তাহলে সেটি এই অঞ্চলে পারমাণবিক হামলার আশঙ্কাকেই বাড়িয়ে তোলে।অবশ্য ইউক্রেন ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে এবং ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ান বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।