চাকরির খোঁজ

সরকারি কর্ম কমিশনে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি

বিসিএসের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তনের প্রস্তাব করে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জানা গেছে, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) অফিসে বিসিএস নিয়োগে কতিপয় পরিবর্তন প্রস্তাবনা সংক্রান্ত (বিশেষ করে ৪৭তম বিসিএসে) বিষয় নিয়ে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহর নেতৃত্বে ছাত্রশিবিরের এক প্রতিনিধি দল পিএসসি চেয়ারম্যানের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় এইচআরএম সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক সুহাইল ও কেন্দ্রীয় ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ নভেম্বর ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার-২০২৪ বিজ্ঞপ্তি ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশার প্রতিফলন হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে ৪৭তম বিসিএস নিয়ে পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়নি। কবে নাগাদ প্রিলি অনুষ্ঠিত হতে পারে তার তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। এক বছরের মধ্যে একটি বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে এমন কোনো বিষয়ও উল্লেখ করা হয়নি। বিসিএসের সিলেবাস আধুনিকরণের বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। প্রতিটি পরীক্ষার্থীর প্রিলি, রিটেন এবং ভাইভা পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল পুননিরীক্ষণের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।

স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় তিন মাসের বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সেশনজট সৃষ্টি হয়েছে। সেশনজটের জন্য একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) হয়েও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অনেক শিক্ষার্থীকেই এই বিষয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

তাদের চারটি প্রস্তাবনা
১. ৪৭তম বিসিএস থেকে পরের সকল বিসিএসের জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক নিয়োগ ক্যালেন্ডার করতে হবে।
• জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সার্কুলার
• মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা
• মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রিলিমিনারি ফলাফল ঘোষণা
• জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে লিখিত পরীক্ষা
• সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লিখিত ফলাফল
• সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ভাইবা শুরু
• নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফাইনাল ফলাফল
• জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কর্মক্ষেত্রে যোগদান

২. নন ক্যাডারে নিয়োগ বিসিএসের নিয়োগের দুই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

৩. প্রতি পরীক্ষার্থীর প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রকাশ করা। লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পুননিরীক্ষণের সুযোগ রাখা।

৪. বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ৪৭তম বিসিএসের অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সকলেই যেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য অবতীর্ণ প্রার্থীর যোগ্যতা অর্জনের সময় (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে) বাড়িয়ে (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত) দেয়া। আবেদনের সময় (৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত) বহাল থাকতে পারে।-বিজ্ঞপ্তি

আরও খবর

Sponsered content