3 September 2024 , 1:37:44 প্রিন্ট সংস্করণ
ইসরাইলে অস্ত্র রফতানি ১০ শতাংশ স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সরকার বলেছে, অস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ইসরাইলের কাছে ৩৫০টি অস্ত্র রফতানি লাইসেন্সের মধ্যে ৩০টি লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, সোমবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি সংসদে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এই আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় এমন সামগ্রী রয়েছে যা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে বর্তমান সংঘর্ষে ব্যবহার করা যেতে পারে; তবে এতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্ত নয়। ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে যুক্তরাজ্য সমর্থন করে জানিয়ে ডেভিড ল্যামি বলেন, ‘লাইসেন্স স্থগিত করার অর্থ অস্ত্র রপ্তানির ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা বা আংশিক নিরাপত্তা নয়।
যুক্তরাজ্য এখনো ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। এ দিকে যুক্তরাজ্যের এ সিদ্ধান্তের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরাইল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল ক্যাটজ বলেন, ব্রিটিশ সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছে ইসরাইল, যার মধ্যে প্রতিরক্ষা রপ্তানি স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি অন্যতম। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক হাসান বারারি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের এ ঘোষণায় একটি ফাঁকি রয়েছে।
কারণ আত্মরক্ষার অধিকার এবং ইসরাইল যে গণহত্যা করছে, এর মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। আমরা ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে গাজায় সংঘটিত নৃশংসতার সমালোচনা বা নিন্দা শুনিনি। তবে যাই হোক, আমি মনে করি এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ইসরাইলকে অন্তত এই বার্তা দেওয়া গেল যে, বিনা বাধায় এভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।
যুক্তরাজ্য ইসরাইলে যে পরিমাণ অস্ত্র সরবরাহ করে তা দেশটির মোট রপ্তানিকৃত অস্ত্রের ১ শতাংশেরও কম। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যামি সংসদে বলেছেন, এই স্থগিতাদেশ ইসরাইলের নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না।