10 August 2024 , 5:20:31 প্রিন্ট সংস্করণ
গ্রামে রয়েছে কয়েকশো সুন্দরী যুবতী। তবে তাদের কারও না হয় প্রেম, না হয় বিয়ে! হবে কী করে, গ্রামে তো কোনও পুরুষই নেই। সকলেই বিদেশে চলে যান কাজ করতে। এমনকি কোনও পুরুষ রাজিও হন না এই গ্রামে এসে কাউকে বিয়ে করতে। কারণ এক অদ্ভুত নিয়ম।
এই গ্রামের কোনও মেয়েকে বিয়ে করলে থেকে যেতে হবে মেয়েটির ঘরেই এবং চাকরিবাকরি ছেড়ে করতে হবে ঘরকন্নারই কাজ। এই অদ্ভুত শর্তই মেনে নেন না কেউ। তাই এই গ্রামের তরুণীরা কার্যত হাঁ করে থাকেন, যদি কোনও পুরুষ এসে তাঁদের বিয়ে করেন!
রূপকথার গল্প নয়, ব্রাজিলের ছোট্ট গ্রাম ‘নয়ভা ডো করডেইরো’ গ্রামে ঠিক এমনটাই ঘটে বাস্তবে। এই অদ্ভুত পরিস্থিতির কারণ জানতে ফিরে যেতে হবে অনেকদিন আগে। সালটা ১৮৯১। ব্রাজিলের একটি গ্রামে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে এক তরুণীকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু তিনি স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি ফিরে চলে আসেন। কিন্তু মারিয়ার এই বিদ্রোহ সে যুগে মেনে নেয়নি সমাজ। আপত্তি জানায় চার্চও। গ্রাম থেকে তাড়িয়েই দেওয়া হয় তরুণীকে।
মেয়েটি তখন নয়ভা ডো করডেইরো গ্রামে চলে আসেন এবং সেখানে মহিলাদের নিয়েই একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলেন। নতুন নিয়ম করেন, এই সম্প্রদায়ের মেয়েরা বিয়ের পরে কেউ শ্বশুরবাড়ি যাবেন না, স্বামীকে স্ত্রীর বাড়িতে এসে থাকতে হবে।
সেই থেকে এই নিয়ম। এমনটাই লোকমুখে ফেরে।