10 August 2024 , 3:33:10 প্রিন্ট সংস্করণ
চোখের সামনে চকোলেট, মিষ্টি দেখলেই টপাটপ মুখে চালান করেন? কিন্তু নিজের দিকটা একবার ভাবুন। চিনির লোভ সামলাতে না পারলে যেমন জাঁকিয়ে বসবে ডায়াবিটিস, তেমনই চড়চড়িয়ে বাড়বে ওজন। কিন্তু চিনিতে কেন বাড়ে আসক্তি? বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাচীন কালে চিনির কোনও ব্যবহারই ছিল না।এমনকী গুড় নিষ্কাশন করে চিনি তৈরির পদ্ধতিও তখন ছিল অজানা।
বরং আখের গুড়, মধু এসবই ব্যবহার করা হত। আর ছিল পায়েস। তাও হত গুড় দিয়েই। গুড় বা চিনি অনেক ধাপে ধাপে ভেঙে তবে রক্তের সঙ্গে মিশত। কিন্তু চিনি তা নয়। সরাসরি রক্তে মিশে মস্তিষ্কে গিয়ে পৌঁছায় এর প্রভাব। সেই সঙ্গে তৈরি হয় হাই ফ্রুকটোজ। যেগুলো নেশা উদ্রেককারী। আর তা স্বাদগ্রন্থিকে পুরোপুরি তৃপ্ত হওয়ার সিগন্যাল দিতে পারে না। ফলে একসঙ্গে বেশি মিষ্টি খাওয়া হয়ে যায়। নোনতা খেলে কিন্তু তা হয় না। বেশি চিনি খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অতিরিক্ত চিনি স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগের মতো গুরুতর রোগকেও আমন্ত্রণ জানাতে পারে। কিন্তু, কখনও ভেবে দেখেছেন, আপনি ১৪ দিন চিনি খাওয়া বন্ধ করলে কী হবে? চলুন জেনে নিই টানা ১৪ দিন একটুও চিনি না খেলে কী হতে পারে আপনার শরীরের।
১-৩ দিন: এই লক্ষণগুলো দেখা যাবে
প্রথম ৩ দিনে চিনি ত্যাগ করা খুব কঠিন হতে পারে। মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, ক্লান্তির মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, যা একটি সাধারণ বিষয়। তবে এটিই লক্ষণ যে আপনার শরীর চিনি ছাড়া বাঁচতে পারে।
৪-৭ দিন: শক্তি এবং ফোকাস
চতুর্থ দিন থেকে, আপনার শরীর সম্পূর্ণ সতেজ অনুভব করবে। খুব উদ্যমী বোধ করবেন। এছাড়াও, আপনার শরীরে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৮-১০ দিন: হজম
চিনি খাওয়া বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে হজমের উন্নতি হতে শুরু করবে। কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব এবং পেট সম্পর্কিত অন্যান্য অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
১১-১৪ দিন: ক্ষুধা হ্রাস এবং ভালো ঘুম
চিনি ছাড়ার দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে, আপনার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে এবং শরীর ভালো লাগবে। এর সঙ্গে সঙ্গে ঘুম সংক্রান্ত সমস্যার অন্ত হবে।
চিনি ছাড়ার উপকারিতা—
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে: আপনি যদি ১৪ দিন চিনি না খান, তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। চিনি স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কিন্তু আপনি যদি আবার চিনি খাওয়া শুরু করেন, তাহলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়াতে পারে।