জাতীয়

বর্জ্য ঘেঁটে মিলেছে ৫ কেজি মাংস সঙ্গে চুল চামড়া ও হাড়

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যা মামলায় তথ্য প্রমাণ যোগাড় করতে মঙ্গলবার থেকে একাধিক নতুন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ। সেপটিক ট্যাঙ্কের বর্জ্য ঘেঁটে প্র্রায় পাঁচ কেজি মাংস উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির এক শীর্ষ কর্মকর্তা। সঙ্গে কিছু চুল, চামড়া এবং হাড়ও মিলেছে।

তবে ওই কর্মকর্তা এটাও বলছেন, ‘এগুলি মানুষের শরীরের মাংস-হাড়-চুল কি না বা আজীমেরই দেহের অংশ কি না, তা নিশ্চিত করা যাবে ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমেই। ওইসব মাংস, হাড় ইত্যাদি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ এদিন সকালেই জানান ।

যে ফ্ল্যাটে এমপিকে হত্যা করা হয়েছিল, তার সুয়ারেজ লাইন বা পয়োনালা, এবং তার কাছেই ভাঙড় খালের ওপরে একটি কাঠের সেতুর কাছে একটি অংশে তল্লাশি চালানোর জন্য তারা পশ্চিমবঙ্গের সিআইডিকে অনুরোধ করেছেন।এরপরই ওই জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তদন্তকারী শাখা সিআইডি।ঢাকার গোয়েন্দাপ্রধান কলকাতায় বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলছেন।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দারা বলছেন যে, নতুন কিছু সূত্র পাওয়া গেছে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়াদের কাছ থেকে। সেই অনুযায়ী নতুন জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।ঢাকা পুলিশের ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ এদিন বলছিলেন, ‘প্রথমে যে খালটার কথা সিআইডি বলেছিল, সেখানে তল্লাশি চলেছে আজকেও। পাশাপাশি আমরাও তাদের কিছু অনুরোধ করেছি যে ওই বাসায় যে তিনটে কমোড আছে, সেগুলি ফ্লাশ করার পরে যেখানে গিয়ে বর্জ্য জমা হয়, সেটা ভাঙ্গতে বলেছি।

পুরো সঞ্জীবা গার্ডেন্স আবাসিক কমপ্লেক্সের যে প্রধান সুয়ারেজ লাইন, সেটা আবাসনের বাইরে বেরিয়ে মিশেছে ভাঙড় খালে। ডিবি হারুন যে কাঠের সেতুর উল্লেখ করছিলেন, তার কিছুটা আগেই প্রধান সুয়ারেজ লাইন এসে ওই খালে মিশেছে। সেখানেই মঙ্গলবার ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে কলকাতা পুলিশের ডুবুরি নামানো হয়।

ডুবুরিরা বলছিলেন ওই জায়গায় এত বেশি পাঁক, যে তারা জলে ডুবেও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারছেন না।বেশ কয়েক ঘণ্টা তল্লাশির পরেও কিছু পাওয়া যায়নি সেখানে। একটা পর্যায়ে কলকাতা পুলিশের ড্রোন উড়িয়েও খালের একটা অংশ দেখে নেন তদন্তকারীরা।তদন্তকারীরা বলছেন, কাঠের সেতুর কাছে আজীমের কিছু পোশাক ফেলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধৃতদের জেরা করে তারা জেনেছেন। তবে এখানে যে আজীমের দেহাংশের তল্লাশি চালানো হচ্ছে না, সেটা নিশ্চিত করেছেন সিআইডির তদন্তকারীরা।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: