ধর্ম

তীব্র গরম নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

তীব্র গরম নিয়ে যা বলেছেন মহানবী (সা.)

আমরা জানি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। আবার নিজ অক্ষেও ঘোরে, তাই বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ কখনো সূর্যের কাছে চলে যায়, আবার কখনো উত্তর গোলার্ধ। যখন যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সেই অংশ খাড়াভাবে বেশিক্ষণ ধরে সূর্যের আলো ও তাপ পায়।

আর তখন সেই অংশে বেশি গরম পড়ে। এ সময় থাকে গ্রীষ্মকাল।একটা অংশ সূর্যের কাছে থাকা মানে তার উল্টো দিকের অংশটা থাকবে সূর্য থেকে দূরে। আর দূরে থাকলে সেই অংশটা কম আলো ও তাপ পাবে। তখন সেই অংশে থাকে শীতকাল।হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে—হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে।

মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো। (বুখারি: ৩২৬০)

তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে নামাজ আদায়

তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় এই দোয়ার নাম ‘ইসতিসকা’ বা সিক্তকরণের দোয়া এবং নামাজের নাম ‘সালাতুল ইসতিসকা’ বা ‘বৃষ্টি কামনায় নামাজ’। বস্তুত যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা নানা প্রতিকূলতায় গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইস্তেগফার করতে হয়।

কেউ অন্যের হক বা অধিকার নষ্ট করলে তা ফেরত দিয়ে দোয়া করতে হয়। তবেই আল্লাহ তাআলা মানুষের মনোকামনা পূরণ করেন। বৃষ্টি দিয়ে জমিন সিক্ত করেন। এ নামাজ মাঠে গিয়ে আদায় করতে হয়। মাঠে যাওয়ার আগে ও পরে সবাই তওবা করতে হয়।তওবা করলে আল্লাহ তাআলা রমহতের বৃষ্টি বর্ষণ করেন।

তখন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, বললাম, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য অজস্র বৃষ্টিধারা প্রবাহিত করবেন, তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি দ্বারা সাহায্য করবেন। (সুরা নুহ ১০-১২)

আরও খবর

Sponsered content