আন্তর্জাতিক

লোকসভার ৪৪ শতাংশ সদস্য ফৌজদারি মামলার আসামি

লোকসভার ৪৪ শতাংশ সদস্য ফৌজদারি মামলার আসামি

ভারতে লোকসভার ৪৪ শতাংশ সদস্য ফৌজদারি মামলার আসামি ও ৫ শতাংশ বিলয়নিয়ার-এমন তথ্য ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’ (এডিআর)-এর করা এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। আর ৭ দফায় এ নির্বাচন শেষ হবে ১ জুন।

এডিআরের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্যের ৪৪ শতাংশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা রয়েছে। আর তাদের মধ্যে ২৯ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর সব অপরাধের অভিযোগ।এডিআরের প্রতিবেদনে বলার উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এসব ফৌজদারি অভিযোগের মধ্যে খুন, খুনের চেষ্টা, সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি, অপহরণ, ধর্ষণ ও নারী – সংক্রান্ত মামলা রয়েছে।

আর এসব ঘটনার ৫০ শতাংশই ঘটেছে উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং হিমাচল প্রদেশে।দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ১৬ জন এমপির বিরুদ্ধে নারী সংক্রান্ত অপরাধের মামলা রয়েছে, এমনকি তার মধ্যে তিনটি রয়েছে ধর্ষণের মামলা। ভারতের আইনসভার নিম্নকক্ষ লোকসভায় পার্লামেন্ট সদস্যের সংখ্যা ৫৪৩।

এডিআর ৫১৪ পার্লামেন্ট সদস্যের পেশ করা হলফনামা পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। শনিবার এই প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫১৪ পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ২১৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ৯ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে খুনের মতো অপরাধের মামলা। এই ৯ জনের মধ্যে ৫ জনই বিজেপি দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আবার ২৮ পার্লামেন্ট সদস্যের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। আর এই ২৮ জনের মধ্যে ২১ জনই বিজেপির সংসদ সদস্য। এই পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে ৫ শতাংশ ১০০ কোটি রুপির বেশি অর্থ-সম্পদের মালিক। এই তালিকায় প্রথম তিনে রয়েছেন কংগ্রেসদলীয় সংসদ সদস্য নকুল নাথ, ডি কে সুরেশ ও স্বতন্ত্র রঘুরাম কৃষ্ণ রাজু।

এডিআর রিপোর্ট অনুযায়ী, সর্বোচ্চ সম্পদ ঘোষণা করা শীর্ষ তিন এমপি হলেন নকুল নাথ (কংগ্রেস), ডিকে সুরেশ (কংগ্রেস) এবং কে. রঘু রাম কৃষ্ণ রাজু (স্বতন্ত্র), যাদের কোটি কোটি রুপির সম্পদ রয়েছে।প্রতিবেদনে এমপিদের শিক্ষাগত প্রেক্ষাপট ও বয়সও তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৩ শতাংশ পার্লামেন্ট সদস্য স্নাতক বা উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী, যেখানে বিদায়ী এমপিদের মাত্র ১৫ শতাংশ নারী।

আরও খবর

Sponsered content