23 March 2024 , 2:09:08 প্রিন্ট সংস্করণ
ছর ঘুরে আবারও এসেছে রোজা। চাঁদ দেখা ভিত্তিতে আর একদিন বা দুইদিন পরেই শুরু হবে মুসলিমদের আকাঙ্ক্ষার মাস পবিত্র রমজান। পুরো এক মাস রোজা পালন করবেন মুসলমান নারী-পুরুষরা। তবে অন্যান্য বছরের মত এবারও পুরো রোজা জুড়েই থাকবে গরম।
আর গরমের মধ্যেও রোজা রেখেও কাজ করতেই হবে। তাই নারী-পুরুষ সবারই শারীরিক এবং মানসিকভাবে এই সময় সুস্থ থাকাটা বিশেষভাবে জরুরি। সবারই উচিত সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, রুটিন অনুসারে দৈনন্দিন কাজের প্রতি যত্নশীল থাকা।
আর তাই রোজার মাসে সুস্থ থাকতে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিষয়গু লো-
১. পর্যাপ্ত পানি পান : রমজান মাসে লম্বা একটা সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এছাড়া গরমে ঘামে শরীর থেকে অনেক পানি বের ও হয়ে যায়। তাই এ সময় ডিহাইড্রেশন রোধ করতে ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত প্রচুর পানি পান করা উচিত। এছাড়া সারাদিন হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে ইফতারের পর থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত তরমুজ, শসা এবং স্যুপের মতো হাইড্রেটিং খাবার খাওয়া উচিত।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস : রমজান মাসে বেশি করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। এসময় ইফতারে ডুবো তেলে ভাঁজা খাবার বা বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। এসময় চর্বিহীন প্রোটিন, ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত যা শরীরে শক্তির সঞ্চার করে এবং রোজার সময় তৃপ্তি বাড়াতে কাজ করে।
৩. পরিমিত ব্যায়াম : রোজার মাসে যেহেতু লম্বা সময় না খেয়ে থাকতে হয় তাই শরীরে শক্তি ধরে রাখতে এ সময় ব্যায়াম এড়িয়ে চলাই ভাল। চাইলে হালকা-পাতলা ব্যায়াম করা যেতে পারে যেগুলোতে শরীর ক্লান্ত হবেনা। তবে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, মেজাজ ভালো রাখতে হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম করতে পারেন। এক্ষেত্রে হাঁটা, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিংয়ের মতো কাজগুলো বেছে নিন।
৪. সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার : সারাদিন যেনো শরীরে শক্তি থাকে এবং হাইড্রেশন থাকে তাই সেহরিতে পুষ্টিকর এবং তরলযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। ডিম, দই, দুধ এরকম খাবার শরীরে শক্তির সঞ্চার করে। এগুলো খেলে সারাদিন শক্তি থাকবে। এছাড়া ভাত, সবজি , কলা পেট ভরপুর রাখে। তবে সেহরিতে অতিরিক্ত ক্যাফেইন, নোনতা খাবার বা অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এ ধরনের খাবার রোজার সময় তৃষ্ণা ও পানিশূন্যতার উদ্রেক করে।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম : অনেকের অভ্যাস আছে রাতে না ঘুমিয়ে একবারে সেহরি করে ঘুমান। কিন্তু এই অভ্যাস মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। এতে করে শরীরে ক্লান্তিসহ নানারকম সমস্যার দেখা দিতে পারে। তাই রোজার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমও নিশ্চিত করা উচিত।