বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

সন্ত্রাসীদের থেকে অর্থ নিচ্ছে সামাজিক মাধ্যম এক্স

ধনকুবের প্রযুক্তি ব্যবসায়ী ইলন মাস্কের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) অনুমোদিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের অর্থের বিনিময়ে সাবস্ক্রিপশন সুবিধা দিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে।বৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর নদরদারিকারী প্রতিষ্ঠান টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্ট (টিটিপি) এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। খবর বিবিসি।

টিটিপি বলছে যে তারা লক্ষ্য করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মত হিজবুল্লাহর নেতা, হুতি গোষ্ঠী এবং ইরান ও রাশিয়ার সরকারি গণমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো ভেরিফায়েড করার কারণে প্রতি মাসে অর্থ গ্রহণ করছে।সাধারণত সামাজিক মাধ্যম এক্সে ব্যাবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড করতে প্রতি মাসে ৮ ডলার করে ফি প্রদান করতে হয়।

ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, সংস্থাটি এমন ২৮টি অ্যাকাউন্ট পেয়েছে যারা মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার অধীনে রয়েছে কিন্তু তারপরও তাদের নামের পাশে নীল চিহ্ন বা ভেরিফায়েড চিহ্ন রয়েছে।টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্টের ডিরেক্টর কেটি পল বলেন, “আমরা বিস্মিত হয়েছি যে এক্স সন্ত্রাসবাদ এবং মার্কিন সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে প্রিমিয়াম পরিষেবা প্রদান করছে।

এটি আরেকটি লক্ষণ যে এক্স তার প্ল্যাটফর্মের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে’।প্রতিষ্ঠানটি বলছে, যেহেতু এখানে অর্থপ্রদান করা হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে নতুন আইনি সমস্যায় পরতে পারে সামাজিক মাধ্যম এক্স।তবে সংস্থাটির প্রতিবেদনে পরে বেশীরভাগ অ্যাকাউন্ট থেকেই ভেরিফায়েড চিহ্ন তুলে নিয়েছে এক্স কর্তৃপক্ষ।

যারা অর্থ প্রদান করেছে : টিটিপি জানায়, আনসার আল্লাহ দ্বারা পরিচালিত হুতিদের একটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড নীল চিহ্নের জন্য অর্থ প্রদান করেছে। যদিও বর্তমানে চিহ্নটি সরানো হয়েছে। অ্যাকাউন্টটিতে ২৩ হাজারের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। হুথিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য উভয় দেশেই নিষিদ্ধ।

এছাড়া ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি-জেনারেল হাসান নাসরাল্লাহর নাম এবং চিত্র বহনকৃত একটি অ্যাকাউন্ট ও ভেরিফায়েড চিহ্ন দেখা গেছে।প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলছে, “যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত দেশ, ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কিন্তু ইলন মাস্কের এক্স তাদের কয়েকজনের কাছে প্রিমিয়াম পরিষেবা বিক্রি করছে বলে মনে হচ্ছে”।

সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এসব অ্যাকাউন্টের সদস্যতা প্রক্রিয়া “আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে চলছে” এবং স্বাধীনভাবে এক্স-এর অর্থপ্রদানকারীদের দ্বারা স্ক্রীন করা হয়েছে।টিটিপি পোস্টটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে যে যদিও কিছু সংস্থার নাম মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই, তবে তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা সংস্থাগুলির মালিকানাধীন।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: