5 September 2023 , 11:48:18 প্রিন্ট সংস্করণ
কথায় আছে পুরুষদের গর্ব তাদের গোঁফ। পুরুষরা নিজেদের নিয়ে যেকোনো বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই গোঁফ উঁচিয়ে কথা বলতেই পছন্দ করেন। তবে যদি বলি ভারতের এক নারী আছেন যিনি ঠিক পুরুষদের মতোই বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই রেখেছেন গোঁফ। আর সেই গোঁফ উঁচিয়েই চলছেন সগৌরবে।
শুধু তাই নয়, তার এই গোঁফ শেভ করার ও কোনো পরিকল্পনা নেই তার।ভারতের কেরালার কান্নুর জেলার গোঁফওয়ালা নারী শাইজা। ৩৫ বছর বয়সী এই নারী অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন, তিনি তার উপরের ঠোঁটে লোম, যা সবাই অবাঞ্ছিত লোম হিসেবেই জানেন সেটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এরপর তার সেই পাতলা চুলগুলোই ধীরে ধীরে দৃশ্যমান গোঁফে পরিণত হয়েছে যা তাকে করেছে অন্য সবার চেয়ে আলাদা।এ বিষয়ে শাইজা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আমি এখন এটা ছাড়া বেঁচে থাকার কল্পনা করতে পারি না। যখন কোভিড মহামারি শুরু হয়েছিল, আমি তখন মাস্ক পরা অপছন্দ করতাম কারণ মাস্ক আমার মুখ ঢেকে রাখে।
শাইজার মতে, তিনি গোঁফ নিয়ে খেলতে চান না তিনি শুধু তার পছন্দ মতো জীবনযাপন করতে চান।শাইজা আরও বলেন, আমি যা পছন্দ করি তাই করি। যদি আমার দুটি জীবন থাকতো, তাহলে হয়তো আমি অন্যদের জন্য একটি বাঁচতাম।শাইজার গোঁফ এখন তার জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। তবে এ গোঁফ নিয়ে প্রায়ই তাকে নিয়ে লোকেরা উপহাস করত।
কিন্তু এতে শাইজা দমে যাননি বরং গোঁফ না কেটে উল্টো তিনি এটির প্রেমে পড়েছেন এবং গোঁফের যত্ন নিয়েছেন।শাইজা বলেন, তার স্বামী বা পরিবারের সদস্যরা কখনোই তার গোঁফ নিয়ে আপত্তি করেননি এবং অন্যরা তার চেহারা সম্পর্কে কী বলে তা নিয়ে তিনি বিরক্তও হন না।
শাইজা এক দশক ধরে ছয়টি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে গেছেন এর মধ্যে একটি অস্ত্রোপচার তার ডিম্বাশয় থেকে সিস্ট অপসারণ করার জন্য করা হয়েছিল। এ ছাড়া তার স্তন থেকেও একটি পিণ্ড অপসারণ করা হয়েছিল। আর এ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোই শাইজা এবং তার বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছিল।
তখনই সে ভেবে নিয়েছে যে তার নিজের শর্তে জীবনযাপন করা উচিত।শাইজা জোর দিয়েছিলেন নিজের জন্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস তৈরির এবং এখন তিনি চান তার মেয়েও তার কাছ থেকে এ মনোভাব ও আত্মবিশ্বাস উত্তরাধিকার সূত্রে পাক।