আন্তর্জাতিক

হামাস নেতার দুই বোনকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েল

হামাস নেতার দুই বোনকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েল

ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরোরির দুই বোনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন দালাল আল-আরোরি (৫২) এবং ফাতিমা আল-আরোরি (৪৭)। রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে দুই নারীকে ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার অপরাধে’ আটক করেছে। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।দুই বোনের মধ্যে একজনের ছেলে বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে বলেছেন, তার মাকে গ্রেপ্তার করতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে।

এ সময় সেনারা তাকে লাঞ্ছিত করে এবং বাড়ি ভাঙচুর করে মামা সালেহ আল-আরোরির ছবি নিয়ে যায়।প্রয়াত হামাসের উপপ্রধানের শ্যালক আওয়ার আল-আরোরি অভিযোগ করেছেন, তাদের পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যকে ‘প্রশাসনিক আটক’ রাখা হয়েছে।ইসরায়েলের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রশাসনিক আটকের উদ্দেশ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা চালিয়ে যাওয়া এবং হামলা বা অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষকে সন্দেহভাজনদের আটকে রাখার অনুমতি দেওয়া।

এভাবে সন্দেহভাজনদের ছয় মাস পর্যন্ত অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রাখার অনুমতি রয়েছে।প্যালেস্টাইন প্রিজনারস ক্লাব জানিয়েছে, সালেহ আল-আরোরির দুই বোনকে রামাল্লা শহরের কাছে পৃথক স্থান থেকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে পাঁচ হাজার ৮৭৫ ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

এর মধ্যে প্রশাসনিক আটকে বন্দি রয়েছে এক হাজার ৯৭০ জন।সালেহ আল-আরোরি গত ২ জানুয়ারি লেবাননে নিহত হয়েছেন। বৈরুতের দক্ষিণে দাহিয়েহ এলাকায় ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় তিনি ছাড়াও এই হামলায় আরও পাঁচ হামাস সদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ একটি আঞ্চলিক সংঘাতে বিস্তৃত হতে পারে— এমন আশঙ্কা করা হয়েছিল।