জাতীয়

সরকারের সঙ্গে তো আমাদের কোনো লিয়াজু নেই বললেন ইসি রাশেদ

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সরকারের সঙ্গে তো আমাদের কোনো লিয়াজু নেই। কখনো কোনোদিন সরকারি কারও সঙ্গে কথাবার্তা বা ওঠা-বসা নেই। বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিক নানা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। প্রত্যেকটা ভোট এলেই বলা হয়, একটা অগ্নি পরীক্ষা সামনে। এবার বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অগ্নি পরীক্ষার মুখে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। কেন এমনটা বলা হয়, এ প্রশ্নের উত্তরে রাশেদা সুলতানা বলেন, ঠিক ওই সেন্সে অগ্নি পরীক্ষা না।

নির্বাচন যদি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না যায়, আমরা আগেও দেখেছি, ১৯৯৬ সমালে কোনো একটা অন্দোলন-টান্দোলনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল। তারপর কিন্তু সে নির্বাচনটা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে আবারও অল্প দিনের ব্যবধানে কিন্তু আবারও একটা নির্বাচন হয়ে গেছে।রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের মাথায় এরকম, আমরা এমন কোনো নির্বাচন করতে চাই না, যেটা আবার নতুন করে দেশকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলে। আমরা চাই যে, একটা নির্বাচন হবে; যে সরকারই হোক না কেন, যেন সরকার স্থায়ী রূপ নেবে। যখনই সরকার অস্থায়ী অবস্থায় চলে যায়, তখন কিন্তু দেশ একটা বিপদের মুখে চলে যায়; আমরা এটা ভাবি নাই।

এ সেন্স থেকেই হয়ত আমাদের মাথায় এটা আসছে, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন করব।আজকে সেনাবাহিনী নামল, এরপর নির্বাচনি সহিংসতা কতটুকু দূর হবে বলে আপনি মনে করেন, এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমাদের যত আয়োজন সব কিন্তু শান্তি-শৃঙ্খলার সঙ্গে যেন ভোট হয়, সে পরিবেশ সৃষ্টি করা। এবং এটা জনগণেরও চাওয়া, যেন সেনাবাহিনী মাঠে নামে। আমরা যতগুলো সংলাপ করেছি, সেখানেও সবাই বলছেন; যেন সেনাবিাহিনী মাঠে নামে। পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে,সবাই যেন সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। আমরা আশ্বস্ত ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ভোট সুন্দরভাবে হবে।

কারও কারও বর্জনকে কেন্দ্র করে যে একটা আশঙ্কা রয়েছে, সেনাবাহিনী নামানোর ফলে সেটা কমবে কিনা, এমন প্রশ্নে এ কমিশনার বলেন, শুধু সেনাবাহিনী নামানোর মাধ্যমে না, আমাদের যতগুলো বাহিনী রয়েছে সবাই কিন্তু এখন অনেক সক্ষম। অনেক দিকে থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। তার সঙ্গে সেনাবাহিনী ট্যাগ হয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে বলে আমি মনে করি।সব দল ভোটে এলে ভোট করাটা কঠিন নাকি সহজ, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বলেন, সেটা তো আমি বলতে পারব না। এর আগে তো আমরা ভোট করি নাই। এটা আমাদের প্রথম ভোট। এটা আমার প্রথম অভিজ্ঞতা কমিশনার হিসেবে ভেতরে থেকে ভোট করা। সেহেতু আমি বলতে পারব না, ভোটে আসলে কী আর না আসলে কী। আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করি, তারপরে বলতে পারব।

এই মুহুর্তে আসলে কী হতো, না হতো তা বলা কিন্তু এখন সত্যিই কঠিন। কারণ, আমরা তো আসলে উনাদের পাচ্ছি না। পেয়ে যদি ভোট করতাম, তাহলে বুঝতে পারতাম কী হতো। তেবে, আমি এটা বলতে পারি, ভোট এখন যেটা হচ্ছে; সেটা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণই হবে।প্রত্যেকটা ভোট এলেই বলা হয়, একটা অগ্নি পরীক্ষা সামনে। এবার বলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অগ্নি পরীক্ষার মুখে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। কেন এমনটা বলা হয়, এ প্রশ্নেসর উত্তরে রাশেদা সুলতানা বলেন, ঠিক ওই সেন্সে অগ্নি পরীক্ষা না। নির্বাচন যদি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না যায়, আমরা আগেও দেখেছি, ১৯৯৬ সমালে কোনো একটা অন্দোলন-টান্দেোলনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হয়েছিল। তারপর কিন্তু সে নির্বাচনটা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি।

নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে আবারও অল্প দিনের ব্যবধানে কিন্তু আবারও একটা নির্বাচন হয়ে গেছে। আমাদের মাথায় এরকম, আমরা এমন কোনো নির্বাচন করতে চাই না, যেটা আবার নতুন করে দেশকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলে। আমরা চাই যে, একটা নির্বাচন হবে; যে সরকারই হোক না কেন, যেন সরকার স্থায়ী রূপ নেবে। যখনই সরকার অস্থায়ী অবস্থায় চলে যায়, তখন কিন্তু দেশ একটা বিপদের মুখে চলে যায়; আমরা এটা ভাবি নাই। এ সেন্স থেকেই হয়তো আমাদের মাথায় এটা আসছে, আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন করব।তিনি বলেন,আন্তর্জাতিক চাপ কোনো ইস্যু না, কোনো বিষয় না। কোনো দিক থেকে কোনো চাপ না। কিন্তু আমরা বিগত দিন থেকে আমাদের একটা অ্যাসেসমেন্ট, হয়ে যাওয়া নির্বাচনটা যেন কোনো ভাবেই প্রসপন্ড (বন্ধ) না হয়ে যায়।

এমন একটা ফেয়ার নির্বাচন যেন হয়, যেটা সব মহলে স্বীকৃত পায়।ফেয়ার নির্বাচনটা কাকে দেখাতে চান আপনারা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব, সবাইকে আমরা দেখাতে চাই। এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে, আন্তর্জাতিক বিশ্বকে আমরা মাথায় রাখছি না। এটা অবশ্যই রাখতে হবে। আমরা বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নয়, আমরা গোটা বিশ্বের একটা অংশ।আমরা মনে করি, এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, একটা ভালো ইলেকশন করা। জনগণকে আশ্বস্তের মধ্যে নেওয়া, যেন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়। একটা ভালো ইলেকশন হলে দেশের জনগণও বলবেন যে, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে।

আন্তর্জাতিক গ্রগণযোগ্যতার ক্ষেত্রে আপনারা আর সরকার কী একই পথে হাঁটছেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে তো আমাদের কোনো লিয়াজু নেই। কখনো কোনোদিন সরকারি কারও সঙ্গে কথাবার্তা বা ওঠাবসা নেই। তবে, পেপার পত্রিকার দৃষ্টিতে, আমরা যেটুকু খবর পাচ্ছি; তাতে আমার মনে হচ্ছে, সরকারও বোধহয় চাচ্ছে, একটা ফেয়ার ইলেকশন হোক। প্রধানমন্ত্রী নিজে, এবং ওবায়দুল কাদের সাহেব বা বিভিন্ন মন্ত্রীরা যেভাবে বলছেন, তাতে আমাদের মনে হচ্ছে, উনারাও একটা ফেয়ার ইলেকশন চাচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: