আন্তর্জাতিক

করোনার নতুন ধরন কতটা ভয়ঙ্কর জেনে রাখুন

করোনার নতুন ধরন কতটা ভয়ঙ্কর জেনে রাখুন

ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবারও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের নতুন উপধরনের সংক্রমণ। বিশেষ করে ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মারাও গিয়েছে কয়েকজন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯ থেকে ৫০ শতাংশই জেএন.১ উপধরনে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)।

যে হারে উপধরনটি ছড়াচ্ছে, তাতে এটি আগের ধরনগুলোর তুলনায় বেশি সংক্রামক কিংবা এটি রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ভেদ করতে বেশি পারদর্শী ধারণা করছে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র।

উপধরন জেএন.১

করোনা ভাইরাসের নতুন উপধরন জেএন.১ (JN.1) এর উৎপত্তি হয়েছে করোনার পুরনো আরেকটি ধরন বিএ ২.৮৬ (BA 2.86) থেকে। এ দুইটি মূলত ২০২২ সালে করোনার দ্বিতীয় দফা মহামারীর জন্য দায়ী ওমিক্রনের অংশ বলে জানিয়েছে সিডিসি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম শনাক্ত করা হয় উপধরন জেএন.১। এক মাসের মধ্যেই দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ০.১ শতাংশের জন্য দায়ী করা হয় এই উপধরনটিকে। সিডিসি অনুসারে, এটি অন্যান্য উপধরনের তুলনায় অত্যাধিক সংক্রমক।

জেএন.১ এর লক্ষণ কী কী?

জেএন.১ এর সঙ্গে যুক্ত লক্ষণগুলোর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের পূর্ববর্তী রূপের উপসর্গগুলোর মিল আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)। সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে জ্বর বা ঠান্ডা লাগা, কাশি, ক্লান্তি এবং শরীরে ব্যথা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা ইত্যাদি সমস্যা লক্ষ্য করছেন চিকিৎসকেরা।

বিভিন্ন প্রতিবেদনে আবার বলা হচ্ছে, জেএন.১ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা যেমন- পেটে ব্যথা, ডায়ারিয়ার সমস্যা বেশি চোখে পড়ছে। তবে এর জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে।

এর জন্য বিভিন্ন দেশের মানুষকে করোনা মহামারীর সময়ে মেনে চলা বিধিনিষেধ আবারও মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে সিডিসি।

জেএন.১ সম্পর্কে কতটুকু উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত

সিডিসি বলছে, জেএন.১-এর কারণে সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়বে কি না তা বলার সময় এখনো আসেনি।

তবে করোনা মোকাবিলায় বর্তমানে যেসব টিকা প্রয়োগ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেগুলো জেএন.১-এর ক্ষেত্রেও কার্যকরি হবে।

এদিকে এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে এই উপধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কম বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সূত্র: আল জাজিরা