4 December 2023 , 3:31:06 প্রিন্ট সংস্করণ
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় রপ্তানিমুখী চামড়াশিল্প প্রতিষ্ঠান ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ লিমিটেড। দেশের বাইরে গ্রহণযোগ্যতা এবং ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদাত হোসেন সেলিম। কোম্পানিটি কিউআইও’র মাধ্যমে ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১০ টাকা মূল্যে দেশের পুঁজিবাজার থেকে পাঁচ কোটি টাকা তুলতে চায়।
এ জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে।কোম্পানির সিইও সাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যাংক ঋণের সুদহার অনেক বেড়ে যাচ্ছে, যা ১৫ শতাংশে ঠেকতে পারে। এ কারণেই আমরা তহবিল সংগ্রহের জন্য ব্যাংকে না গিয়ে পুঁজিবাজারে আসতে চাইছি। যেহেতু আমাদের মূলধন ছোট, এ কারণে আমরা প্রথমে এসএমই প্লাটফর্মে আসতে চাইছি।
কয়েক বছর সেখানে থাকার পর আমরা পুঁজিবাজারের মূল প্লাটফর্মে যাবো।তাছাড়া দেশের বাইরে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্রহণযোগ্যতা বেশি এবং একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করে। মূলত এ দুই কারণেই আমরা পুঁজিবাজারে আসতে চাইছি। তিনি জানান, বর্তমানে সাড়ে সাত’শর বেশি কর্মী রয়েছে কারখানাটিতে। আর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার জোড়া জুতা রপ্তানি করা হয়েছে।
২০১৭ সালে প্রথমে শ্রীপুরে আমার নিজের জমিতে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে একটি ছোট কারখানা করি। আমরা শুরুর দিকে জুতা স্যাম্পলিং করতাম। আমরা কিছু জুতার প্রোটোটাইপ স্যাম্পলিং করে সেগুলো বাইরে পাঠানো শুরু করলাম। তখন ভালো সাড়া পাওয়া গেল। এ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০২০ সালে কারখানার কাজ যখন শেষ হয়ে আসে। তখন করোনার সংক্রমণ শুরু হয়।
বিশ্ব ও দেশের অর্থনীতির স্থবিরতার মধ্যেই আমাদের কারখানার যাত্রা শুরু।গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে রপ্তানিমুখী চামড়াশিল্প প্রতিষ্ঠান ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাকসেসরিজ।সম্প্রতি সরেজমিনে কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে উন্নত যন্ত্রপাতি এনে স্থাপন করা হয়েছে ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের কারখানায়।
গ্রাহকদের জন্য ফরমাল, ক্যাজুয়াল, অক্সফোর্ড, মোকাসিন, ডার্বি, হাইহিল, পামিসহ বিভিন্ন ধরনের জুতা বানায় ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার।ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যারের উৎপাদিত জুতার ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে-বাটা, হাসপাপিশ, অন স্পিরিট, ফাইন বয়েজ, ইত্যাদি।পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা ৫ কোটি টাকার মধ্যে ২ কোটি টাকা কারখানার বিএমআরই, ১ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ পরিশোধে, চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যবহার করা হবে।
বাকী টাকা যাবে পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ার পেছনে। কোম্পানিটির কিউআইও’র ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে গ্রীন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড।