আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের গাজা দখলের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিপারত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এর মাধ্যমে ইসরায়েল মূলত সেখানে দখলদারিত্ব কায়েম করতে চায় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইসরায়েলের এই ধরনের পরিকল্পনার বিপক্ষে। খবর আলজাজিরার।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে তেল আবিবের অন্যতম প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি সেনারা গাজায় হাজার হাজার নিরপরাধ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করলেও দেশটিকে অস্ত্র-অর্থ থেকে শুরু করে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক দখলকে সমর্থন করেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এটা সঠিক কাজ হবে না।

এর আগে গত সোমবার মার্কিন টেলিভিশন এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নেবে ইসরায়েল।

তিনি বলেন, ইসরায়েল অনির্দিষ্টকালের জন্য সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে না থাকলে কী হয়, সেটা আমরা দেখলাম।

মঙ্গলবার কিরবি আরও বলেছেন, যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসনব্যবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে সুস্থ আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তবে একটি বিষয়ে আমরা ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একমত যে সেখানে ৬ অক্টোবরের মতো শাসন কাঠামো থাকবে না।

এর মানে হলো যুদ্ধ শেষে হামাসকে গাজার ক্ষমতায় দেখতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। যদিও এই সংগঠনটিই ২০০৭ সালের পর থেকে গাজা শাসন করে আসছে।

এর আগেও গাজা দখল করার ব্যাপারে ইসরায়েলকে আগেই সতর্ক করেছিলেন বাইডেন। গত মাসে তিনি বলেছিলেন, গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলে সেটি ইসরায়েলের জন্য ‘বড় ভুল’ হবে।

আরও খবর

Sponsered content