17 December 2024 , 4:12:44 প্রিন্ট সংস্করণ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তিনি কিভাবে বিদেশে চলে গেলেন, সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত তিন মাস ছিলেন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর বাংলাদেশের কোথায় তিনি কিভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বা তিনি কিভাবে পরে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেয়া হয়, সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।’
এর আগে, সকাল ১০টার পর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকসহ ১৬ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।