সারা দেশ

কাউন্সিলরসহ দুই মেয়র আত্মগোপনে ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে সেবা পেতে হযবরল অবস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা। অধিকাংশ কাউন্সিলরসহ দুই মেয়র আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। তাই সেবা পেতে ভোগান্তিতেপড়া নগরবাসী এর সমাধান চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।  গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অনেকটাই স্থবির দুই সিটির নাগরিক সেবা।

মামলা ও হামলার ভয়ে অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছাড়া দুই প্যানেল মেয়রও এখন পলাতক। জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নাগরিকরা। জাতীয়তা, চারিত্রিক, উত্তরাধিকার ও জন্ম-মৃত্যু সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, ওয়ারিশ ও প্রতিবন্ধী ভাতা সত্যায়িতকরণের মতো প্রায় ১৪টি সেবা থেকে বঞ্চিত সিটির বাসিন্দারা।

উত্তর ও দক্ষিণের বেশকটি কাউন্সিলর কার্যালয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, ভাঙচুর চালানোর কারণে অধিকাংশতেই তালা ঝুলছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর থেকেই কার্যালয় বন্ধ। প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে সচল রাখার চেষ্টা হলেও নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই সেবা প্রত্যাশীদের। তবে কিছু কার্যালয়ে স্বল্পসংখ্যক কর্মী নিয়ে কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম খোকন সময় সংবাদকে বলেন,  প্রশাসক এসেছেন। তবে আমাদেরকে ডেকে যেভাবে কথা বলার দরকার, সেটা তিনি এখনও করেননি। এখনও আমাদেরকে কোনো ইনস্ট্রাকশন দেননি। আমার অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেটার চিঠি এবং জিডির কপি দিয়েছি।

আমি অফিসে বসতে পারছি না। বাসায় বসে কাজ করছি। এটারও চিঠি দেয়া আছে তার কাছে। দক্ষিণ সিটির প্রশাসক জানান, জন্ম ও মৃত্যু সনদসহ অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে কাউন্সিলরদের দাায়িত্ব পালনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব সেবা কার্যক্রম চালু হবে বলে আশ্বস্ত করেন উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

আমাদের যে চ্যালেঞ্জগুলো আছে বা আসতে পারে, সেগুলো স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করেছি। আমরা আশা করছি, কোনো একটা নির্দেশনা পেয়ে যাব। আমাদের সেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ‘যদি নির্দিষ্টভাবে কেউ বলে যে, ওই সেবাটা পাচ্ছে না — সেক্ষেত্রে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব বিকল্প পদ্ধতিতে।

কিন্তু এ পর্যন্ত আমাদের কাছে সেরকম কোনো অভিযোগ আসেনি।  যেসব কর্মকর্তাকে আমরা দায়িত্ব দেব, জন্ম নিবন্ধনসহ যে সনদগুলো তারা দেয় সেগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য সেবাও তাদের অ্যাসাইন করে দেয়া হবে। এ সপ্তাহের মধ্যেই সেটা হবে বলে আশা করছি।

মশক নিধন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজের তদারকি এবং টিসিবির পণ্য বিতরণের কাজও পরিচালিত হয় কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে। তাই এসব সমস্যার আশু সমাধান চান নাগরিকরা।