আন্তর্জাতিক

তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র বললেন বাইডেন

তাইওয়ানের স্বাধীনতা সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র বললেন বাইডেন

তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার তাইওয়ানের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন চীনবিরোধী দলের তৃতীয় দফা জয়ের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ মন্তব্য করেন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী উইলিয়াম লাই চীনের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে তৃতীয়বারের মতো বড় ব্যবধানেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

নির্বাচনের এ ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাইডেন বলেন, ‘আমরা (তাইওয়ানের) স্বাধীনতা সমর্থন করি না। ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাইপের পরিবর্তে বেইজিংয়ের পক্ষে এর কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই দেশটি বলে আসছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণাকে সমর্থন করে না।

তবে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি তাইওয়ানকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে দেশটি।তাইওয়ানকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ক্রমাগত শক্তিপ্রয়োগ করে আসছে বেইজিং। চীনের ভয় গণপ্রজাতন্ত্রী তাইওয়ানের ঘোষণা দিয়ে দিতে পারেন লাই। তবে লাই বরাবরই এমন করবেন না বলে আশ্বাস দিয়ে আসছেন।

এর আগে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে চীনা সরকারের বিরাগভাজন হয়েছেন বাইডেন। তার মন্তব্যে মনে হয়েছে, এ দ্বীপরাষ্ট্রে কোনো রকম হামলা চালানো হলে এর পক্ষে লড়বে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কৌশলগতভাবে অস্পষ্টতার অবস্থান বজায় রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাইডেনের পূর্বের মন্তব্যের কারণে সে অস্পষ্টতা থেকে বিচ্যুতি ঘটছিল।

শনিবারে বাইডেনের মন্তব্য বেইজিংকে পূর্ণ আশ্বস্ত করার চেষ্টা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাইওয়ানের ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগেও যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, নির্বাচনে কোনো দেশের হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রসঙ্গত, তাইওয়ানকে নিজের অংশ বলেই দাবি করে চীন। চীনের মার্শাল আইন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে লড়াই করে নিজের স্বশাসন টিকিয়ে রেখেছে তাইওয়ান।

১৯৯৬ সালে দ্বীপরাষ্ট্রটি প্রথম এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে।প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় লাই চিং–তে কে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আন্তঃপ্রণালী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং মতানৈক্যের শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।