আন্তর্জাতিক

অবরুদ্ধ গাজায় ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসংঘে ভোট

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ক্ষুধা পরিস্থিতির আরও অবনতির কথা জানিয়েছে সহযোগিতা সংস্থাগুলো। ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে বলেছে, গাজায় সবাইকে তাড়া করছে ক্ষুধা। অন্যদিকে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, গাজার অর্ধেক মানুষ অভুক্ত। ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে দুই মাস ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। এ অবস্থায় গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাবে আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোট হবে।

১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তার রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিষয়টি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে।গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। প্রস্তাবটিতে ভেটো দেয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। এতে গাজায় রক্তক্ষয় থামানোর প্রয়াস ব্যর্থ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও কয়েক শ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় ১৮ হাজার ২০৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় ৫০ হাজার।ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেছে, গাজা উপত্যকায় এখন অনেক মানুষ দু-তিন দিন ধরে না খেয়ে আছে।

গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানিকে পদ্ধতিগতভাবে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানকার সবাইকে ক্ষুধা তাড়া করছে।গাজার ২৩ লাখ অধিবাসীর বেশির ভাগই বাড়িঘরছাড়া হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ উপকূলীয় এই ছিটমহলে আশ্রয় বা খাবার পাওয়া অসম্ভব। গাজাবাসী বলছেন, বারবার পালাতে বাধ্য হওয়া লোকজন ক্ষুধা ও ঠান্ডার পাশাপাশি ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে মারা যাচ্ছেন। ত্রাণবাহী ট্রাকে লুটপাট হচ্ছে। পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: