আন্তর্জাতিক

ক্ষমতা দখলের পর বড় চ্যালেঞ্জে মিয়ানমারের জান্তা

ক্ষমতা দখলের পর বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নতুন করে জোটবদ্ধ হওয়ায় সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের ‘ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ) নতুন করে জোটবদ্ধ হয়েছে।

এবার তারা জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এ জোট দেশটির অন্যতম প্রধান বাণিজ্য রুট এবং চীনের সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের কয়েকটি দখল করেছে।

এ ছাড়া তারা সেখানকার কয়েকটি ফাঁড়িরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, শান রাজ্যে সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের মধ্যকার সংঘর্ষের জেরে আতঙ্কিত হয়ে অন্তত ৯০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিদ্রোহীদের মোকাবিলায় সেনাবাহিনী তাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। জান্তার প্রধান মিন অং হ্লেইং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তাদের কঠোর হস্তে মোকাবিলা করা হবে। ফলে এ জোট তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ধরে রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (টিএনএলএ) মুখপাত্র ও ডেপুটি জেনারেল তার পার্ন লা বলেন, তারা অভিযান চালিয়ে শতাধিক সামরিক ফাঁড়ির দখল নিয়েছেন। যদিও তাদের দাবির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

এর আগে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী স্বীকার করে যে তারা বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। এর মধ্যে তাদের কৌশলগত বাণিজ্যের শহর চিনশওয়েহাও রয়েছে।

এটি চীনের ইয়ুন্নান প্রদেশের সীমান্তবর্তী শহর। এ অঞ্চল দিয়ে গতে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসে মিয়ানমার ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করেছে।

বিদ্রোহীদের তিনটি দল জোটবদ্ধ হওয়ায় জান্তা ক্ষমতা দখলের পর সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে পড়েছে। গত আড়াই বছরের মধ্যে তাদের এমন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি।

দেশটির এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন চীনও। তারনাও এ বিদ্রোহী দলগুলোর কাছে যুদ্ধবিরতির আাহ্বান জানালেও তাতে সাড়া দেয়নি জোট।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: