26 August 2023 , 4:24:14 প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার মাসুমা খাতুনকে অপহরণের পেছনে তার সাবেক স্বামীর হাত রয়েছে। আর অপহরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করেন ওই কমিশনারের সাবেক গাড়িচালক মাসুদ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- আব্দুল জলিল ও হাফিজ। গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
খন্দকার আল মঈন জানান, অপহরণের শিকার এই যুগ্ম কমিশনারের সাবেক স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ। হারুনের রাগ-ক্ষোভ ছিল তার স্ত্রীর ওপর। সেই ক্ষোভ থেকেই মাসুমাকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয় মাসুমার সাবেক গাড়িচালক মাসুদকে। মাসুদের নেতৃত্বে অপহরণ মিশনে অংশ নেয় মোট সাতজন।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী হারুন ৫০ হাজার টাকায় হাতিরঝিল এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। তবে অপহরণের পর মাসুমাকে ওই বাসায় নেওয়া সম্ভব হয় না। এর বদলে তাকে নেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকার একটি গ্যারেজে। সেখানে গাড়িতেই মাসুমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরদিন তাকে নেওয়া হয় মাদারটেক এলাকায়। সেখানে তার চিৎকারে এলাকাবাসীর হাতে আটক হন তিনজন। পালিয়ে যান মাসুদসহ চারজন।
গত ১৭ আগস্ট রাজধানীর মগবাজার এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ নারী যুগ্ম কর কমিশনারকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর গত ১৮ আগস্ট রাজধানীর মাদারটেক এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে এবং তিন অপহরণকারীকে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্ট ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তার সাবেক গাড়িচালক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে শুক্রবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এই অপহরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া এক মামলার প্রধান আসামি মাসুদ এবং তার সহযোগী মো. আব্দুল জলিল ওরফে পনু (৪৮) ও মো. হাফিজ ওরফে শাহীনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে র্যাব।