জাতীয়

রাশিয়ার বন্ধু তালিকায় বাংলাদেশ লাভ কী

সম্প্রতি ৩০টিরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ দেশ, ব্যাংক এবং ব্রোকারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে রাশিয়া। যে তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশসহ তালিকায় থাকা দেশগুলোকে রাশিয়ান মুদ্রাবাজার এবং ডেরিভেটিভস বাজারে বাণিজ্য করার অনুমতি দেবে মস্কো। অর্থাৎ তালিকাভুক্ত দেশগুলোর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো রুশ মুদ্রা রুবলে লেনদেন করতে পারবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে রুবলের রিজার্ভ খুব সীমিত।

এটি কনভার্টেবল বা বিনিময়যোগ্য মুদ্রা হিসেবে জনপ্রিয় না হওয়ায় বৈদেশিক লেনদেনে এখনো এই মুদ্রা তেমন ব্যাপক হারে ব্যবহার হয় না। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করে এমন ব্যাংকগুলোও রুবল রাখে না। ফলে সরাসরি রুবলে লেনদেন তেমন হয় না।

তৃতীয় কোনো মুদ্রায় কনভার্ট করে তারপর লেনদেন করতে হয়। এ অবস্থায় রাশিয়ার বন্ধু তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অর্থনৈতিক বা প্রায়োগিক তাৎপর্য বিশেষ নেই বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদ এবং বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তার মতে, রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য খুবই সীমিত। কোভিড ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকে তা আরও অনেক কমে গিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেনে এ মুহূর্তে যে সমস্যা রয়েছে সেটি সমাধানে ও দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের তালিকাভুক্তি খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘নতুন বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে লেনদেনের জন্য আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণের রুবল এবং তাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা থাকতে হবে। কিন্তু বাণিজ্যের জন্য যতটা রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন সেটা নেই।

সেই সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনে তৃতীয় মুদ্রা হিসেবে ইউয়ানের রিজার্ভও যথেষ্ট নেই। হাতে থাকা ইউয়ান দিয়ে কতটা পাওনা পরিশোধ করা যাবে এবং যত ইউয়ান আসবে সেটা আন্তর্জাতিক বাজারে কতটা ব্যবহার করা যাবে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

আরও খবর

Sponsered content