জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করার অনুরোধ করেছে অর্ন্তবর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ অনুরোধ করা হয়। পত্রে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বেশ কিছু কর্মচারী প্রচলিত বিধি ও প্রাধিকার বহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন।

এমনকি কোনো কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই বিভিন্ন দফতর, অধিদফতর, সংস্থা, ব্যাংক-বীমা, কোম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে অধিযাচন করে (চেয়ে) গাড়ি আনা হচ্ছে। এতে বলা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা-২০২০ এর আওতায় গাড়ির ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত কোনো কোনো কর্মকর্তা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ সমুদয় অর্থ (৫০ হাজার টাকা) গ্রহণ করার পরও অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করছেন।

অথচ ওই নীতিমালার ১৭ অনুচ্ছেদে এ ধরনের অনিয়মের বিষয়টি বন্ধ করার পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীর প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের এ ধরনের প্রবণতার ফলে একদিকে জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা ও আর্থিক অপচয়ের কারণ ঘটছে।অন্যদিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং সমাজে তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এতে সরকারের দায়িত্ব সচেতনতা সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ধারণা তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে সরকার এ বিষয়ে অনমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে। এ অবস্থায় সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বারিত করার (বন্ধ করার) অনুরোধ করেছে।