বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

৪৩৭ বছর পৃথিবীর সামনে আসছে নিশিমুরা ধূমকেতু দেখা যাবে খালি চোখেই

ধূমকেতুটির নামকরণ করা হয়েছে জ্যোতির্বিদ হিডিও নিশিমুরার নামে। অগস্ট মাসেই তিনি এটি আবিষ্কার করেছিলেন। বলা হয়, এই ধূমকেতুটি ৪৩৭ বছরে একবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। আর যখনই এটি পৃথিবীর কাছে আসে, এটিকে খালি চোখে দেখা যায়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন একটি ধুমকেতুর খোঁজ দিয়েছেন, যা আপনি খালি চোখেই দেখতে পাবেন। তার জন্য লাগবে না কোনও টেলিস্কোপ। খালি চোখে দেখা যায়, এমন উজ্জ্বল ধূমকেতুকে বৃহৎ ধূমকেতু বলা হয়। তবে তা সচরাচর দেখা যায় না। যারা আকাশে ঘটা বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আগ্রহী, তারা ১২ সেপ্টেম্বর আকাশের দিকে চোখ রাখতেই পারেন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ১২ সেপ্টেম্বর একটি ধূমকেতু খালি চোখে আকাশে দেখা যাবে।মকেতুটির নাম নিশিমুরা। চলতি বছরের ১১ অগস্ট, প্রথমবারের মতো এই ধুমকেতুর সন্ধান পান জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ধূমকেতুটির নামকরণ করা হয়েছে জ্যোতির্বিদ হিডিও নিশিমুরার নামে। অগস্ট মাসেই
তিনি এটি আবিষ্কার করেছিলেন। বলা হয়, এই ধূমকেতুটি ৪৩৭ বছরে একবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। আর যখনই এটি পৃথিবীর কাছে আসে, এটিকে খালি চোখে দেখা যায়।

এবার এই নিশিমুরা ধূমকেতুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এটি এখনই দূরবীনের সাহায্যে দেখা যাচ্ছে। আর এখনও পৃথিবী থেকে অনেকটাই দূরে আছে। যখন কাছে আসবে, তখন কোনও টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে না।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, নিশিমুরা ধূমকেতু শীঘ্রই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে এবং এই সময়ে এটি পৃথিবীর কাছাকাছিও আসবে। পরে তা চলে যাবে দূর মহাকাশে। নিশিমুরা ধূমকেতুর বৈজ্ঞানিক নাম C/2023 P1। এটি ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসবে। এর আগে, এটি ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসতে পারে এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এটি দেখা যাবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিশিমুরা ধূমকেতুর কক্ষপথের সময়কাল ৪৩৭ বছর। অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বরের পর, এই ধূমকেতুটি আগামী ৪৩৭ বছর পর আবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে। ১২ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, কোনও টেলিস্কোপের সাহায্য ছাড়াই নিশিমুরা দেখতে পাবেন। এই সময়ে ধূমকেতুর উজ্জ্বলতা আরও বাড়তে পারে।

ফলে কোনও টেলিস্কোপ লাগবে না এটি দেখতে। সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আপনি এটি দেখতে পাবেন। রাত যত গভীর এবং অন্ধকার হবে, নিশিমুরা ধূমকেতু দেখার সম্ভাবনা তত বেশি হবে।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: