ভিন্ন স্বাদের খবর

যেভাবে অঞ্জু থেকে ফাতেমা

দুই দেশের গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে ভারতীয় এক গৃহবধূর পাকিস্তানি প্রেমিকের কাছে ছুটে যাওয়ার খবর। এর আগে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ৩৪ বছর বয়সী অঞ্জু জানিয়েছিলেন তিনি বিয়ে করতে আসেননি, শুধু দেখা করতে এসেছেন। ওই নারীকে বিয়ে করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন পাকিস্তানি যুবক।

এমনকি দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করছেন ওই যুবক।তবে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বাগদান সারেন এই প্রেমিকযুগল। শুধু তাই নয়, ধর্ম পরিবর্তন করে আইনি প্রক্রিয়া মেনে নাসরুল্লাহকে বিয়ে করেছেন ভারতীয় গৃহবধূ অঞ্জু। মঙ্গলবার দুই দেশের অসংখ্য সংবাদমাধ্যমে তাদের বিয়ের তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, ধর্ম পরিবর্তনের পর হিন্দু নাম অঞ্জু ছেড়ে ইসলামিক নাম ফাতিমা রাখা হয়েছে তার। আপার দির জেলার আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সারেন এই প্রেমিকযুগল। তার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেন তারা। ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তানের কয়েকটি দর্শনীয় স্থানে একসঙ্গে ঘুরছেন তারা। দু’জনকে পাশাপাশি বসে নানা ঢংয়ে ছবিও তুলতে দেখা যায়।

খাইবার পাখতুনখাওয়া মালাকান্দ ডিভিশন পুলিশের উপমহাপরিদর্শক নাসির মেহমুদ সাট্টি অঞ্জু ও নাসরুল্লাহর বিয়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় গৃহবধূ অঞ্জু ধর্ম পরিবর্তন করে নাসরুল্লাহকে বিয়ে করেছেন। নিরাপত্তা বিবেচনা করে পুলিশি পাহারায় অঞ্জুকে জেলা আদালত থেকে তার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাজস্থানের গৃহবধূ অঞ্জু পাকিস্তানে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পর দুই দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি হয়। কারণ তার কয়েক দিন আগে ভারতীয় প্রেমিক শচীনের কাছে পালিয়ে আসেন পাকিস্তানি গৃহবধূ সীমা হায়দার।তাকে নিয়ে যখন দু’দেশে তোলপাড় চলছে তখন পাকিস্তানে পৌঁছে অঞ্জু দাবি করেন, তিনি পাকিস্তানের গৃহবধূ সীমা হায়দারের মতো নন।

তার সঙ্গে তাকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। এমনকি নাসরুল্লাহর সঙ্গে তার প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেন অঞ্জু। একই সঙ্গে শিগগিরই ভারতে ফিরবেন বলে জানান তিনি।সোমবার পাকিস্তানি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঞ্জুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন নাসরুল্লাহও।

তিনি জানান, অঞ্জুকে বিয়ে করার কোনও পরিকল্পনা নেই। আগামী ২০ আগস্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভারতে ফিরে যাবেন অঞ্জু।পুলিশের কাছে লিখিত হলফনামা দিয়েও সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হলফনামা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধর্ম পরিবর্তন করে নাসরুল্লাহকে বিয়ে করেন অঞ্জু।

গত ২১ জুন রাজস্থানের আলওয়ার থেকে পাঞ্জাবের অমৃতসর হয়ে লাহোরে পৌঁছান অঞ্জু। রাজস্থানে তার সাবেক স্বামী আরবিন্দ কুমার ও দুই সন্তান- ১৫ বছরের মেয়ে ও ছয় বছরের ছেলে রয়েছে। অঞ্জুর নতুন স্বামী মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত।