বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

এখনো রহস্যময় মহাবিশ্ব বিস্তার

এখনো রহস্যময় মহাবিশ্ব বিস্তার

আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার বদলে যাচ্ছে। মহাবিশ্ব যে গতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে, সেটিকে বিজ্ঞানীরা বলেন হাবল ধ্রুবক। বেশ কয়েক দশক ধরেই এই হাবল ধ্রুবকের মান মাপার চেষ্টা করছেন গবেষকরা। এই পরিমাপ যতটা নির্ভুল হচ্ছে, ততটাই অস্পষ্টও হয়ে উঠছে।

আর এর কারণ হলো, ভিন্ন ভিন্ন উপায়ের পরীক্ষায় আসছে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল।সম্প্রতি বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স-এ প্রকাশিত ‘জেডব্লিউএসটি অবজারভেশনস রিজেক্ট আনরিকগনাইজড ক্রাউডিং অব সেফিড ফটোমেট্রি অ্যাজ অ্যান এক্সপ্লেনেশন ফর দ্য হাবল টেনশন অ্যাট ৮ (সিগমা) কনফিডেন্স’ শীর্ষক নতুন গবেষণাপত্রে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার বদলে যাওয়ার পেছনে ঠিক কী কাজ করছে, তা এখনো অজানা বা অজ্ঞাত। সে সম্পর্কে এখনো পরিষ্কার ধারণা মেলেনি। গবেষকরা বলছেন, এর কারণ হতে পারে, মহাবিশ্ব ও পদার্থবিদ্যা নিয়ে মানুষের প্রচলিত ভুল ধারণা বা মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ পরিমাপে কোনো ধরনের সম্ভাব্য ত্রুটি।

মহাবিশ্বের বিস্তৃতি সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেতে এখন গবেষকরা হাবল স্পেস টেলিস্কোপের পাশাপাশি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও ব্যবহার করছেন, যাতে পরিমাপের নির্ভুলতা নিয়ে কোনো সন্দেহ না থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ অ্যাডাম রিস বলেন, ‘মহাবিশ্ব পরিমাপের ত্রুটি এড়িয়ে গেলে এমন চমকপ্রদ সম্ভাবনা বাস্তবে উঠে আসতে পারে, দেখা যাবে এত দিন ধরে মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমরা যা বুঝতাম, তা ভুল ছিল। এখন আমরা হাবল টেলিস্কোপে পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা বাড়িয়েছি।

ফলে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই হাবল টেনশনের মাধ্যমে সৃষ্ট ত্রুটিগুলো বাদ দিতে পারি।হাবল টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণ ও বিজ্ঞানীদের পরিমাপ সঠিক ছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে ২০২৩ সাল থেকে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন গবেষকরা।

তবে বিজ্ঞানীদের এক অংশের দাবি, এই পরিমাপে এখনো ত্রুটি থাকতে পারে, যেখানে দূর থেকে পরিমাপ করলে এর নির্ভুলতা কমে আসতে পারে।

নতুন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা উভয় টেলিস্কোপের সেরা ফলাফল দেখতে জেমস ওয়েব ও হাবল টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণগুলোকে সমন্বিত করেছেন। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, দূর থেকে পরিমাপ করলেও এর ফলাফল নির্ভরযোগ্য থাকবে।