ভিন্ন স্বাদের খবর

এক ঘড়ির দাম ৬০৩ কোটি টাকা

ঘড়ির ব্যাপারে অনেকেই বেশ শৌখিন। অনেকেই নিজের পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ঘড়ি পরতে ভালবাসেন। অনেকে বাড়িতে নানা ধরনের ঘড়ি জমাতে ভালোবাসেন। শাহরুখ খান থেকে অনন্ত আম্বানি, দামি ও শৌখিন ঘড়ির কালেকশনে কম যান না কেউই।অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানে নজর কেড়েছিল অনন্ত আম্বানির গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম। এর দাম ১৮ কোটি টাকা।

পাটেক ফিলিপ সংস্থার এই ঘড়ি বিশ্বের দামি ঘড়িগুলোর একটি। তবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি হাতঘড়ি কোনটি জানেন কি? ঘড়িটির দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬০৩ কোটি টাকারও বেশি। দাম শুনেই বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই ঘড়িটিতে মূল্যবান অনেক কিছুই যুক্ত আছে। চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য তার। যে কেউ দেখলেই আশ্চর্য হবেন বৈকি! বিলাসবহুল ঘড়ির কথা উঠলেই সবার আগে যে দেশটির নাম সামনে আসে সেটি হল সুইজারল্যান্ড।

সেই সুইজারল্যান্ডের অন্যতম ঘড়ি নির্মাতা প্যাটেক ফিলিপ। নিলামে ‘প্যাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম রেফারেন্স ৬৩০০এ-০১০’ ঘড়িটির বিপুল দামই উঠেছিল।তবে ফিলিপের সেই বহমূল্য ঘড়িকেও হারিয়ে দিয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন। হিরা-জহরত বসানো সেই রাজকীয় ঘড়ির দাম ৫৫ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম ৪৫৬ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামি ঘড়ির তকমা পেয়েছিল সুইস কোম্পানি প্যাটেক ফিলিপের একটি ঘড়ি।

২০১৪ সালে লন্ডনের বিখ্যাত গ্রফ ডায়মন্ডস জুয়েলারি হিরা ও বহুমূল্য রত্ন বসানো এই ঘড়িটি তৈরি করে। নাম দেওয়া হয় গ্রাফ ডায়মন্ডস হ্যালুসিনেশন। ঘড়িটিতে ১১০ ক্যারাটের নানা রঙের হিরা বসানো আছে। এর ডায়ালটিতে বসানো আছে একটি পেল্লায় হিরা। নানা রঙের হিরা ও তাদের নানা রকম নিখুঁত নকশা ঘড়িটিকে আরও আকর্ষণীয় করেছে।২০১৫ সালে গ্রাফ ডায়মন্ডস এমনই একটি ঘড়ি বাজারে এনেছিল যার দাম ছিল ৩৩১ কোটি টাকার মতো।

এই ঘড়িতে ১৫২ ক্যারাটের নানা মাপের হিরা নিখুঁত খোদাই করে বসানো ছিল। ঘড়ির ডায়ালটি ৩৮ ক্যারাটের ডিম্বাকৃতি একটি হিরা। তবে গ্রাফ হ্যালুসিনেশনের ডিজাইন ও হিরার নকশা আরও সুন্দর বলে জানিয়েছে গ্রাফ ডায়মন্ডস। হ্যালুসিনেশন এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি। মোট ৩০ জন অভিজ্ঞ ডিজাইনার, জেমোলজিস্ট, জহুরি মিলে তৈরি করেছেন এই ঘড়ি।

%d bloggers like this: