জাতীয়

ভারত থেকে ২৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে বললেন প্রতিমন্ত্রী

ভারত থেকে ২৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে বললেন প্রতিমন্ত্রী

বর্তমানে ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।  জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ২৩ হাজার ১৫৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪১টি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এছাড়া ভারত থেকে ২ হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ১১ হাজার ৩০৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৮টি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন এবং দরপত্র প্রক্রিয়াধীনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে।

বর্তমানে মোট ৯ হাজার ৮৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৩টি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৪ সাল থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথা- মাতারবাড়ী, গাজীপুর, সৈয়দপুর, ঘোড়াশাল, ময়মনসিংহ, রূপসা, রামপাল, পটুয়াখালী, মেঘনাঘাট, কেরানীগঞ্জ ও চট্টগ্রামে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

এছাড়া মোট ২ হাজার ২২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৬ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথা- ফেঞ্চুগঞ্জ, গজারিয়া, মিরসরাই, মেঘনাঘাট ও রাউজানে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

জান্নাত আরা হেনরীর এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে বিকল্প জ্বালানির উৎস হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ প্রসারের লক্ষ্যে এরই মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন কর হয়েছে, যার সম্মিলিত ক্ষমতা ৯৭১ দশমিক ৭০ মেগাওয়াট।

ওই কার্যক্রমের আওতায় এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় যমুনা নদীর তীরে ৭ দশমিক ৬ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এরই মধ্যে যা থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ৮৮ দশমিক ৭৫ মেগাওয়াট পিক ক্ষমতার আরও একটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান। যার বাস্তবায়ন কাজ চলতি বছরের জুনে শেষ হতে পারে।