জাতীয়

প্রার্থীদের আস্থা রয়েছে প্রশাসনের ওপর বললেন সিইসি

প্রার্থীদের আস্থা রয়েছে প্রশাসনের ওপর বললেন সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন,আমরা মাঠ পর্যায়ে সভা করেছি। তাদের(প্রার্থী) কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। প্রশাসনের ওপর তাদের(প্রার্থী) আস্থা রয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও তার সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি নির্বাচনে মানবাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে ভোটাধিকার, নির্বাচিত হওয়া এবং নির্বাচিত করা এটি একটি ফান্ডমেন্টাল হিউম্যান রাইট।

শুধু আমাদের সংবিধান নয়, ইউনির্ভার্সাল ডেকোরেশন অফ হিউম্যান রাইটস এবং পলিটিক্যাল রাইটস, যেগুলোতে আমরা স্বাক্ষর করেছি, সেগুলোতে এ বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। সিইসি বলেন,তিনি(জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান) আমাদের যে সহযোগিতা করতে চান, আমরা যে সহযোগিতা করতে চাই, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এই জিনিসগুলো গ্র্যাজুয়েলি যদি আমরা উনাদের বোঝাতে সক্ষম হই যে সহিংসতা বাদ দিয়ে অহিংস পদ্ধতিতেও নির্বাচন করা সম্ভব, সেই লক্ষ্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকা উচিত।

আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বা নির্বাচন করেন, তাদেরর এই বিষয়গুলো অনুধাবন করে সংহিসতার পথ থেকে সরে এসে অহিংস পদ্ধতিতে সকল ভোটারকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগদানে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা, তাদেরকে অনুপ্রাণিত করা। তারাও চালাওবেন, সেই সাথে আমরাও কাজ করবো। তিনি বলেন,অবাধ,সুস্ঠু নির্বাচনের কথা উনি বলেছেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু হতে হবে। অবাধ,সুষ্ঠু না হলে ভোটাধিকার প্রয়োগ হবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ভোটের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে মৌলিক মানবাধিকার অবশ্যি বিঘ্নিত হবে।

সেই লক্ষ্যে আমাদের যৌথভাবে কাজ উচিত বলে উনারা মনে করেন, আমরাও সহমত পোষণ করছি।দলগুলোর মধ্যে উনিও বিশ্বান করেন, পারস্পরিক আস্থাটা খুবই কম। দলের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা থাকা দরকার,তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাদের মধ্যেও ওটা নিচের দিকে যাবে। এতে প্রার্থী হিসেবে তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার সংস্কৃতি গড়ে ওঠা উচিত। তা না হলে আমাদের রাজনীতিতে বা নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় সংহিসতাটা কিছুটা থেকে যাবে।

গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন,গণমাধ্যমের ভূমিকাটার কথাও তিনি(জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান) বলেছেন। গণমাধ্যমের ভূমিকা বস্তুনিষ্ঠ হওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় গণমাধ্যমে যে অংশটুকু তারা প্রয়োজন, ওই অংশটুকু কেটে নিয়ে আগে-পিছে বাদ দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এটাও অনেক সময় করে। তাই গণমাধ্যমকেও আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে সার্বিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বা রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে উনি মনে করেন। আমরা সহমত পোষণ করেছি।

শাসক দলের প্রার্থীর আচরণ বিধি ভঙ্গ করছেন, আপনারা মানাতে পারছেন না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে সভা করেছি। তাদের কাছ থেকে খুব বেশি অভিযোগ পাইনি। প্রশাসনের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পোস্টা ছেঁড়া এগুলো হয়েছে। কিন্তু মোটাদাগে খুব বেশি ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয় না। তবে সহিংসতা একেবারেই হয়নি,সেটা বলছিনা। আশাকরি, গ্র্যাজুয়েলি এটা আর কয়েকটা দিন আছে, আমরা আমাদের আবেদন রাখছি, প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন এটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। একটা সময় প্রচারনা বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন,ভোটের দিন পোলিং এজেন্টকে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। সেখানে অবাঞ্চিত লোক যাতে প্রবেশ করতে না পারো এবং বাহির থেকে ভেতর থেকে গণমাধ্যম যদি অনিয়ম প্রচার করতে পারে, আমরা এটাকে স্বাগত জানাবো। তাহলে নির্বাচনের ক্রেডিবিলিটি বেড়ে যাবে এবং ভুল পারসেপশন হওয়ার সুযোগ কম হবে। আমরা আশাবাদি। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।