জাতীয়

অনলাইন থেকে তারেকের বক্তব্য অপসারণ শুরু

অনলাইন থেকে তারেকের বক্তব্য অপসারণ শুরু

ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য অপসারণ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি-বিটিআরসি।মঙ্গলবার (আগস্ট ২৯) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

তিনি বলেন, কালকে আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিটিআরসিকে জানিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গেই বিটিআরসি বিভিন্ন ইউআরএল লিস্ট করেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। খুবই জোরালোভাবে তারা কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ভিডিও সরানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আশা করি সবগুলো সরিয়ে ফেলতে করতে পারবে। আর হাইকোর্ট থেকে দ্রুত সার্টিফাইড কপি (আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি) পাব। পেলে আরও সুবিধা হবে।

এক আবেদনের পর সোমবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য ইউটিউব, ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অবিলম্বে ব্লক, অপসারণ বা সরিয়ে ফেলার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি-বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন।

এ আদেশের সময় বিএনপির আইনজীবীরা হট্টগোল করলে বিচারকরা এজলাস ছেড়ে চলে যান।এর আগে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে কোনো পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার, পুনঃউৎপাদন না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চেয়েছিলেন।

রিটে বলা হয়, তারেক একজন ফেরারি আসামি। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও বেআইনিভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়।পরদিন রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেকের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন।

আরও খবর

Sponsered content