জাতীয়

আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার সোহেল তাজ

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বুধবার রাতে একটি ‘আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার’ হয়েছেন। সোহেল তাজের ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনাটির সময়কাল রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত। স্থান সংসদ ভবন এলাকা থেকে ক্যান্টনমেন্ট (ভেতরের এলাকা) পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (বুধবার দিবাগত) রাত ১২টা ২৬ মিনিটে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

এ ঘটনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীর প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ তিনি। সোহেল তাজের ‘দৃষ্টি আকর্ষণ: প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনাবাহিনীর প্রধান’ শিরোনামের পোস্টটি এখানে হুবুহু তুলে ধরা হলো-

“আজকে রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় একটি খুবই আতঙ্কজনক ও রহস্যজনক ঘটনার শিকার হই। একজন মোটরসাইকেল আরোহী আমাকে সংসদ ভবন থেকে ফলো করে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে চলে আসে এবং একটা সময় তার বুকে লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে আমাকে থামতে বলে। আমি থামার পর তার পরিচয় জানতে চাই এবং আমাকে কেন থামতে বললেন তা তাকে জিজ্ঞেস করি। প্রতিউত্তরে সে আমাকে বলে যে তাদের লোক আসছে আর আমার তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং তাকে জিজ্ঞেস করলাম তিনি আমাকে চিনতে পেরেছেন কিনা। জবাবে সে আমাকে বললো আমি আপনাকে চিনি- আপনি সোহেল তাজ। তারপর সে মোবাইল ফোনে বললো যে সে আমাকে থামিয়েছে এবং লোকেশন জানিয়ে আসতে বললো। আমি আবার তার পরিচয় জানতে চাইলাম এবং কারা আসছে আর কেন আমাকে থামিয়েছে জানতে চাইলাম।

সে কোনো উত্তর না দিয়ে আবার ফোনে কথা বললো তারপর আমাকে বললো চলে যেতে আর সেও মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে চলে গেল। “তার কথা বলার ধরন এবং আচরণে আমি একেবারে কনফিডেন্ট সে কোনো গোয়েন্দা সংস্থার লোক। এইভাবে মানুষকে যাতে হয়রানি না করা হয় সেটাই ছিল আমাদের সকলের প্রত্যাশা- এখন দেখা যাচ্ছে একই কায়দায় সব চলছে- ছি ছি।

বি. দ্রষ্টব্য: এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন এবং ক্যান্টনমেন্টের জাহাঙ্গীর গেটের প্রবেশ পথের হাই রেসুলেশন ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ দেখলেই ধরা পড়বে কে এই মোটরসাইকেল আরোহী। সময় রাত ১০:৫০ মিনিট থেকে ১১:০০, আমার গাড়ি এই সময়ের মধ্যে প্রবেশ করে এবং পেছনেই এই মোটরসাইকেল আরোহী ছিল।