জাতীয়

ফুলগাজী-পরশুরামে বিদ্যুৎহীন ৩১ হাজার পরিবার

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ২০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে সীমান্তঘেঁষা দুই উপজেলার অন্তত ৩৫টি গ্রাম।দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এই দুই উপজেলার প্রায় ৩১ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ।

জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়ন, ফুলগাজী সদরের কিসমত ঘনিয়ামোড়া, উত্তর শ্রীপুর, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া, উত্তর নিলক্ষ্মী, পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, দেড়পাড়া, নিলক্ষ্মী, গোসাইপুর, মন্তলা, গাবতলা, কহুমা, জগতপুর এবং পরশুরাম উপজেলার ধনীকুন্ডা, শালধর, বেড়াবাড়িয়াসহ বেশকিছু এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে মোবাইল নেটওয়ার্ক। অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ খুঁটি, মিটার ও ট্রান্সফরমার তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদুৎ কর্তৃপক্ষ।

ফুলগাজী ও পরশুরামে মোট ৩১ হাজার ২০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া বেশ কিছু এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল নেটওয়ার্কও। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বানভাসি মানুষ।

জগতপুরের বাসিন্দা আদনান রহমান বলেন, বিদ্যুৎ না থাকলেও টিকে থাকা যায়, কিন্তু নেটওয়ার্ক না থাকলে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় না। দেশের বাইরে থাকা আত্মীয়রা ফোন না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে যাচ্ছে।

মুন্সীরহাটের আব্দুল কাইয়ুম বলেন, গত বছরও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরগুলো তখনও কোনো উদ্যোগ নেয়নি, এবারও না। টাওয়ারে জেনারেটর থাকলে অন্তত নেটওয়ার্ক পেতাম।

ফুলগাজী পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয়দের নিরাপত্তার জন্য উপজেলার প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। এখানে আমাদের মোট গ্রাহক ৩৮ হাজার।

পরশুরাম পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মো. সোহেল আকতার জানান, ৩৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশের সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন লাইনে ক্ষতি হওয়ায় তা স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে।

আরও খবর

Sponsered content