জাতীয়

স্বামী-স্ত্রীর নাম থাকছে না ই-পাসপোর্টে

স্বামী-স্ত্রীর নাম থাকছে না ই-পাসপোর্টে

সম্প্রতি ই-পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগসংক্রান্ত পাতায় (পারসোনাল ডেটা অ্যান্ড ইমার্জেন্সি কনটাক্ট) তিনটি সংশোধন এনেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকেই এই সংশোধনী কার্যকর হয়েছে।

কী কী সংশোধনী এলো ই-পাসপোর্টে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-

স্বামী-স্ত্রীর নাম

ই-পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যের অংশটুকুতে পাসপোর্টধারীর নামের সঙ্গে এতদিন উল্লেখ থাকতো বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামী বা স্ত্রীর নাম (স্পাউসেস নেম) আর স্থায়ী ঠিকানা। এবার এই অংশেই আনা হয়েছে সংশোধন। ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্টে ‘স্পাউসেস নেম’ ঘরটি আর থাকছে না। এর বদলে সেখানে লেখা থাকবে ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান’। যা কেবল দত্তক সন্তানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

তবে ‘লিগ্যাল গার্ডিয়ান নেম’ অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে আইনত অভিভাবকের অনাপত্তি সনদ আর তার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি প্রমাণপত্র হিসেবে পাসপোর্টের আবেদনের সময় জমা দিতে হবে।

বিস্তারিত ঠিকানা

ব্যক্তিগত তথ্য ও জরুরি যোগাযোগসংক্রান্ত অংশ দুটিতে ‘অ্যাড্রেস’ বা ঠিকানার ঘর আছে। এই অংশে পাসপোর্টধারীর স্থায়ী ঠিকানা যেমন উল্লেখ করতে হয়, তেমনি জরুরি যোগাযোগের জন্য ব্যক্তি যাকে মনোনীত করেন, তারও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানাও লিখতে হয়।

এতদিন প্রত্যেকের ঠিকানা দুই লাইনে ৪৮ শব্দের মধ্যে লিখতে হতো। ফলে অনেকেই পুরো ঠিকানা সেখানে লিখতে পারতেন না। এখন থেকে ঠিকানা লিখতে তিন লাইন বা ৯৬ শব্দ জায়গা থাকবে।

কিউআর কোড

ই-পাসপোর্টের প্রথম পাতায় জরুরি তথ্যের নিচে এতদিন কিউআর কোড যুক্ত করা ছিল। এই কোডটি স্ক্যান করলে পাসপোর্টধারীর নাম ও যোগাযোগের নম্বর পাওয়া যেত। এখন থেকে ই-পাসপোর্টে আর কিউআর কোড থাকছে না।

%d bloggers like this: