আন্তর্জাতিক

আবারও গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েল-হামাস তীব্র লড়াই চলছে

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর ভূখণ্ডটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি ট্যাংক ও যুদ্ধ বিমানগুলো শুক্রবার রাতভর খান ইউনিসে তীব্র গোলাবর্ষণ ও বোমা হামলা চালিয়েছে।

গোলাগুলির শব্দে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে হামাসের যোদ্ধাদের লড়াই হচ্ছে।ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ও চিকিৎসা কর্মীরা জানিয়েছেন, গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেরাত শরণার্থী শিবিরেও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথমদিকেই ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছিল।

এবার নগরীর আরও ভেতরে প্রবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। এ উদ্দেশ্যে নগরীটির কেন্দ্রস্থলে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা হামাসের কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্র গুদামগুলোতে হাজির হচ্ছে।দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা সিটিতে গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের এক বাড়ির নিচে একটি টানেল কমপ্লেক্সও ধ্বংস করেছে তারা।

৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর ১২ সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার অধিকাংশ স্থান ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য নিয়ে গাজায় অবিরাম ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে তারা।ইতোমধ্যে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ অন্তত একবারের জন্য হলেও তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে আর অনেকে ক্রমাগত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া গাজার বহু বাসিন্দা খোলা জায়গায় তারপলিন ও প্লাস্টিকের শিট দিয়ে তৈরি অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, এতে গাজাজুড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৫০৭ জনে দাঁড়িয়েছে, এটি গাজার মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ। আরও কয়েক হাজার মৃতদেহ গাজার ধ্বংস হয়ে যাওয়া ভবনগুলোর আবর্জনার নিচে চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

%d bloggers like this: